জাতিগত ভাবে বলি কিংবা দেশভেদে, সব সূচকে তারাই তত উপরে, যে/যারা কর্মক্ষেত্রে যতটা প্রফেশনাল। প্রফেশনাল বললে হইতোএকটা জেনারালাইজড কথার মত শোনাই, যার ধরাবাধা কোনো মানদন্ড নেই। বর্তমান বাংলাদেশের এক বিরাট সমস্যা হচ্ছে বেকার সমস্যা। কিন্তু কেনো এমন? যে দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ কর্মক্ষম যুবা, তারা কর্মহীন থাকলে দেশ এগোবে কি করে? আসুন খোঁজার চেষ্টা করি, কেনো এমন সংকট? একদিকে আমরা বলছি দেশে চাকুরী নেই, অপরদিকে দেশের মাল্টিনেশনাল কম্পানি বা কর্পোরেট হাউজের শির্ষ পদগুলো সহ হাজারো পদ ধারন করে আছে পার্শবর্তী দেশের (ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল) লোকজন। কেনইবা ওভার পেম্যান্ট দিয়ে বিদেশী ইমপ্লোয়ী হায়ার করছেন কর্পোরেট হাউস গুলো? কি দিয়ে ব্যখ্যা করবেন এই দ্বিমুখী সংকট?
ঘটনা ১
গত সপ্তাহে গীয়েছিলাম কোরিয়ান ঔরি ব্যংকে, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নিজে কাজটি করে দিলেন, এমনকি অফ-পিক আওয়ারে। যদিও ভাষাগত সমস্যা তথাপি চেষ্টা করলেন বোঝার, আমি কি সমস্যায় গীয়েছি। যখন ভাল ভাবে বুঝতে সক্ষম হোন নাই তখন হেল্প নিলেন ব্যংক কল সেন্টারের। এবার আসি কাজের দ্রুততা ও তুলনামূলক টেবিল/ডেস্ক ঘোরার ব্যপারে। প্রথমত; বেঞ্চওয়ার্কে কোরিয়ানরা বরাবর অনেক দ্রুততারসাথে করতে পারে, দ্বিতীয়ত; যেকোনো অফিসিয়াল কাজে এক টেবিলেই আপনার কাজ শেষ, যদিওবা কর্তব্যরত ব্যক্তি উক্ত কাজ না করতে পারেন, প্রয়োজনে তিনি অন্যের সাহায্য নিয়ে করবেন। তবে আপনাকে বা আপনার প্রদানকৃত কাগজ-পত্রের এক টেবিল হতে আরেক টেবিলে আর ঘোরা হবে না। তবে আরেকটি ব্যপার উল্লেক্ষ্য যে, কোরিয়াতে বিজ্ঞান ও গবেষনার বয়ান গুলো নির্বিঘ্নে মানা হয়, আমার আপনার দেশের মতো তাচ্ছিল্য করা হয়না। সামান্য একটা কথা যেটা কিছুদিন আগেই প্রকাশিত, মেয়েরা/মহিলারা সিমুলটেনাস মাল্টিটাসকিং (এক সঙ্গে অনেক কাজ করা) এ অনেক এগিয়ে পুরুষের তুলনায়। আর সেটা অনেক আগে হতে কোরিয়াতে মানা হয় তথা, বেঞ্চওয়ার্ক গুলো অধিকাংশই মহিলাদের দারা পরিচালিত।বিজ্ঞান গবেষনার সাজেশন গুলো তারা দৈব বাণীর মত মেনে চলে। সর্বাপরি, ভোক্তা/ক্লাইন্টের প্রতি তাদের অফিসিয়ালদের অান্তরিকতা বোধ অনন্য।
গত সপ্তাহে গীয়েছিলাম কোরিয়ান ঔরি ব্যংকে, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নিজে কাজটি করে দিলেন, এমনকি অফ-পিক আওয়ারে। যদিও ভাষাগত সমস্যা তথাপি চেষ্টা করলেন বোঝার, আমি কি সমস্যায় গীয়েছি। যখন ভাল ভাবে বুঝতে সক্ষম হোন নাই তখন হেল্প নিলেন ব্যংক কল সেন্টারের। এবার আসি কাজের দ্রুততা ও তুলনামূলক টেবিল/ডেস্ক ঘোরার ব্যপারে। প্রথমত; বেঞ্চওয়ার্কে কোরিয়ানরা বরাবর অনেক দ্রুততারসাথে করতে পারে, দ্বিতীয়ত; যেকোনো অফিসিয়াল কাজে এক টেবিলেই আপনার কাজ শেষ, যদিওবা কর্তব্যরত ব্যক্তি উক্ত কাজ না করতে পারেন, প্রয়োজনে তিনি অন্যের সাহায্য নিয়ে করবেন। তবে আপনাকে বা আপনার প্রদানকৃত কাগজ-পত্রের এক টেবিল হতে আরেক টেবিলে আর ঘোরা হবে না। তবে আরেকটি ব্যপার উল্লেক্ষ্য যে, কোরিয়াতে বিজ্ঞান ও গবেষনার বয়ান গুলো নির্বিঘ্নে মানা হয়, আমার আপনার দেশের মতো তাচ্ছিল্য করা হয়না। সামান্য একটা কথা যেটা কিছুদিন আগেই প্রকাশিত, মেয়েরা/মহিলারা সিমুলটেনাস মাল্টিটাসকিং (এক সঙ্গে অনেক কাজ করা) এ অনেক এগিয়ে পুরুষের তুলনায়। আর সেটা অনেক আগে হতে কোরিয়াতে মানা হয় তথা, বেঞ্চওয়ার্ক গুলো অধিকাংশই মহিলাদের দারা পরিচালিত।বিজ্ঞান গবেষনার সাজেশন গুলো তারা দৈব বাণীর মত মেনে চলে। সর্বাপরি, ভোক্তা/ক্লাইন্টের প্রতি তাদের অফিসিয়ালদের অান্তরিকতা বোধ অনন্য।
ঘটনা ২
অত্যাবশ্যকীয় একটা কারনে পর পর বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় টিসিআই কেমিক্যালস্ এ ফোন করতে হয়। আমি প্রথমেই বাংলাদেশী ভাইটাকে ফোন করি এবং আমার চাহিদা গুলি জানাই। কিন্তু, একজন ব্যবসায়ী(সেলস্ পার্ছোন) তার ভোক্তার সাথে এভাবে কথা বলে জানা নেই। মনে হচ্ছিলো উনি নেশায় আসক্ত নয়তো, আমার ফোনে ঘুম হতে উঠে একরাশ বিরোক্ত নিয়ে কথা বলছেন। যাইহোক, সেটাও সমস্যা নয়, উনি পন্যের স্প্যাসিফিকেশন বলতে পাচ্ছেন না, পন্যের দাম ও ডাকমাশুল কত তাও জানেন না। শুধু ভালো বলার মাঝে যা বলেছেন, ওরা ইন্ডিয়া হতে এসব করে ওদের ফোন দেন। বাধ্য হয়ে যখন ইন্ডিয়ান সেলস্ পার্সন কে ফোন করলাম, তিনি অত্যন্ত সুচারু রুপে সব শুনলেন, পরদিন মেইলে জানায়ে দিতে চাইলেন। দুজনের মাঝে তুলনা করলে দেখবেন ফলাফল একই, কেউ স্প্যাসিফিকেশন বলতে পারেনি, কিন্তু দ্বিতীয় জন জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বস্তুত এটাই আমাদের কামনা। ধরুন এবার আপনি একটি কর্পোরেট হাউজের মালিক, তাহলে কোন ব্যক্তিকে চাকুরী দিবেন? আবার আপনি একজন ভোক্তা/কাস্টমার তাহলে দ্বিতীয়বার যদি ফোন করতে হয় কারে করবেন? এখানেই কোনো প্রফেশনের প্রফেশনালীজম কেমন হওয়া দরকার তার একটা ধারনা পেয়ে যাবেন।
অত্যাবশ্যকীয় একটা কারনে পর পর বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় টিসিআই কেমিক্যালস্ এ ফোন করতে হয়। আমি প্রথমেই বাংলাদেশী ভাইটাকে ফোন করি এবং আমার চাহিদা গুলি জানাই। কিন্তু, একজন ব্যবসায়ী(সেলস্ পার্ছোন) তার ভোক্তার সাথে এভাবে কথা বলে জানা নেই। মনে হচ্ছিলো উনি নেশায় আসক্ত নয়তো, আমার ফোনে ঘুম হতে উঠে একরাশ বিরোক্ত নিয়ে কথা বলছেন। যাইহোক, সেটাও সমস্যা নয়, উনি পন্যের স্প্যাসিফিকেশন বলতে পাচ্ছেন না, পন্যের দাম ও ডাকমাশুল কত তাও জানেন না। শুধু ভালো বলার মাঝে যা বলেছেন, ওরা ইন্ডিয়া হতে এসব করে ওদের ফোন দেন। বাধ্য হয়ে যখন ইন্ডিয়ান সেলস্ পার্সন কে ফোন করলাম, তিনি অত্যন্ত সুচারু রুপে সব শুনলেন, পরদিন মেইলে জানায়ে দিতে চাইলেন। দুজনের মাঝে তুলনা করলে দেখবেন ফলাফল একই, কেউ স্প্যাসিফিকেশন বলতে পারেনি, কিন্তু দ্বিতীয় জন জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বস্তুত এটাই আমাদের কামনা। ধরুন এবার আপনি একটি কর্পোরেট হাউজের মালিক, তাহলে কোন ব্যক্তিকে চাকুরী দিবেন? আবার আপনি একজন ভোক্তা/কাস্টমার তাহলে দ্বিতীয়বার যদি ফোন করতে হয় কারে করবেন? এখানেই কোনো প্রফেশনের প্রফেশনালীজম কেমন হওয়া দরকার তার একটা ধারনা পেয়ে যাবেন।
আমরা চাইলেই হয়তো হাজারটা কারন দাঁড় করাতে পারি। হয়তো অনেকে বলবেন,
- [ ] আমাদের শিখন পদ্ধতি একটা ভুল পদ্ধতি।
- [ ] ফ্রেশ গ্রাজুয়েটরা শুধু সার্টিফিকেটই পাচ্ছে কাজের কোনো ব্যবহারিক ধারনা পাচ্ছে না।
- [ ] কম্পানি-ইউনিভার্সিটি সমন্বয় নেই, কেমন ইমপ্লোয়ী কোম্পানীর দরকার তা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কারিকুলাম বোর্ডের কেউ জানেন না, তেমনি কম্পানিগুলো তাদের দরকার জানাতে ব্যার্থ।
- [ ] আমাদের নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক যে শক্ত ভিত দরকার তা কখনো গড়া হয়না।
- [ ] আমাদের গবেষনা আপাত দৃষ্টে নেই বললেই চলে।
আমার চাকুরির ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যা তা একেবারেই অজানা। তাই সে ব্যপারে কোনো কিছু বলতে পারলাম না। আপনার মূল্যবান মতামত সমাদৃত।
- [ ] আমাদের শিখন পদ্ধতি একটা ভুল পদ্ধতি।
- [ ] ফ্রেশ গ্রাজুয়েটরা শুধু সার্টিফিকেটই পাচ্ছে কাজের কোনো ব্যবহারিক ধারনা পাচ্ছে না।
- [ ] কম্পানি-ইউনিভার্সিটি সমন্বয় নেই, কেমন ইমপ্লোয়ী কোম্পানীর দরকার তা যেমন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কারিকুলাম বোর্ডের কেউ জানেন না, তেমনি কম্পানিগুলো তাদের দরকার জানাতে ব্যার্থ।
- [ ] আমাদের নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক যে শক্ত ভিত দরকার তা কখনো গড়া হয়না।
- [ ] আমাদের গবেষনা আপাত দৃষ্টে নেই বললেই চলে।
আমার চাকুরির ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যা তা একেবারেই অজানা। তাই সে ব্যপারে কোনো কিছু বলতে পারলাম না। আপনার মূল্যবান মতামত সমাদৃত।