পরিশীলিত চিন্তার ও যুক্তির জয় কি হবে? আমি অনেকের মুখেই শুনেছি এখনও শুনি, পাকিস্তান ১৯৭১ এর অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচারের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায় না কেন? হ্যাঁ আমারো প্রশ্ন তাই, তবে আমি মনেকরি আর দু এক দশকের মাঝে পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা চাইবে এবং মাশুল স্বরুপ জাপানের মতো একটি সুনির্দিষ্ট পরিমান ডোনেশন দিতে বাধ্য হবে। আমরা যে কজনই দেশের সীমানা পেরিয়ে বাইরে পা বেরিয়েছি, তারা ভারতবর্ষের লোক হিসেবে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার মানুষের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে থাকি। জানিনা কি কারনে, তবে গায়ের বর্ণের কারনেও হতে পারে। নয়তো, কেউ একজন আগবাড়িয়ে কথা বলেছি, দেশের লোক ভেবে। এমন হর-হামেশাই হয়ে থাকে, পথে বেরিয়ে নূতন কারো সাথে আলাপচারিতা জমে উঠে, আবার কথায় কথায় অনেক কিছুই জানা হয়ে যায়। প্রতিবেশী সকল দেশ হতে আমরা অধিকাংশ বাংলাদেশী চলন-বলন, আচার-আচরণ সামগ্রিক ভাবেই আলাদা। আজ আমার অভিজ্ঞতা লব্ধ ছোট্ট একটা নমুনা শেয়ার করছি। সপ্তাহান্তে কোথাও ঘুরি নয় ঘুমাই।দূরে কোথাও না বেরানো হলে, লম্বা ঘুম শেষে স্বল্প পাল্লার উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করি। তেমন এক উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরায় বেরিয়েছিলাম আজ বিকেলে, ঘুরতে ঘুরতে গেছোন মেডিকেল ক্যাম্পাস গিয়েছিলাম মিঠুন দা’র সাথে। উনার সাবেক ফার্মাসি ল্যাবে গিয়েছিলাম ঘুরতে। ফিরতি পথে পাকিস্তানী এক গবেষকের সাথে দেখা, যে কিনা মিঠুন দা’র পরিচিত। অনেক কথায় হলো তার সাথে, চৌম্বক অংশটুকু তুলে ধরছি শুধু। কথার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি হিন্দি/উর্দু জানি কি না ? হাজারো বাংলাদেশী বাঙালির মত আমিও একই উত্তর করেছিলাম, “অল্প স্বল্প জানলেও আমরা উর্দু বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করি না। উনার প্রতি উত্তর ছিলো ইন্ডিয়ান, শ্রীলংকান এমন কি নেপালিরা পর্যন্ত খুব সুন্দর কথা বলতে পারে উর্দুতে, কিন্তু বাংলাদেশীরা বলতে চায় না।হঠাৎ করে উনি দেশ ভাগে চলে আসলেন এবং প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ১৯৪৭ এ দেশ ভাগটা ভুল ছিল বলে আপনি মনে করেন ? আমার প্রতি উত্তর ছিল এমন, জানিনা সে সময়ের প্রেক্ষিতে ভুল ছিল কিনা তবে আজকের বিবেচনাই আমি বলবো আলবৎ ভুল। ৫০০০ মাইল দূরের দুটি ভূখন্ড একক রাষ্ট্র হিসেবে চলতে পারেনা। সে দুদিন আগে হোক আর পরে হোক বিভাজন হবেই। আর সেই বিভাজনের ছাই চাপা আগুনে ঘী ঢেলেছে পাকিস্তানি শাসকরা। উনার ভাষ্য অনুসারে বিভাজনের বীজ বপন করেছিলেন খাঁজা নাজিমুদ্দিন, উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা করে। এছাড়াও পাকিস্তান শাসক বর্গের শোষন নিপীড়োন তো ছিলোই। বিজিতরা নাকি কোনো ইতিহাস রচনা করেনা, তাই হয়ত শোষন অত্যাচার ও নিপীড়োন সম্বোন্ধে আমরা যতটা ওয়াকিবহাল পাকিস্তানের এপ্রজন্ম ততটা নয়। আরো অনেক পাকিস্তানি মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানতে চেষ্টা করেছি দেশ বিভাগ নিয়ে তারা কতটুকুই জানে । অধিকাংশের জানা বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিলো এটুকুই। তবে আশার বাণী এটুকু যে, কেউ একজন অনুধাবন করেছে পূর্ব-পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) উপর পরিচালিত অন্যায় অত্যাচার, শোষন ও নিপীড়ন ঠিক ছিলনা।
ভাবছি এক স্বপ্নময় বাংলাদেশের কথা, আগামী ২০-২৫ বছরের মাঝে কি করে সর্বক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলছে তা যেন চোখ বোজে দেখতে পাচ্ছি, আর ঠোঁটের কোনায় মৃদু হাসির ঝিলিক দেখছি। যেমন টা ছোট্ট শিশু ঘুমের ঘোরে হাসে। জন্মভূমি তার সৌরভ ছড়াতে শুরু করেছে, সে সৌরভে আকুল সবাই উদগ্রীব সংশ্রব পেতে। সবাই চায় বন্ধুত্ব করতে। এটি ফ্যান্টাসি নয়, বাস্তব হওয়ায় হয়ত স্বাভাবিক। যদি এই প্রজেকশনের ব্যত্যয় হয় তবেই বরঞ্চ অস্বাভাবিক । স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক তা কিছু পর হয়ত আমরা জানবো। বাংলাদেশ কি পারবে জনসংখ্যার স্কেলে স্বর্ণ সময়ে একটা স্থিতিশীল রাষ্ট্র কাঠামো গড়তে? দেশে চলমান কোটা আন্দোলন, সরকারী চাকুরিতে বয়স সীমা বৃদ্ধি... সকল দাবি-দাওয়া মেনে নিলে কি ২৭ লাখ বেকার সমস্যার সমাধান হবে? প্রতি বছর ফ্রেশ গ্রাজুয়েট বেরোচ্ছে কত জন আর কাজে লাগছে কত জন তার খবর রেখেছেন ? তবে দিনে দিনে যে পাল্লা ভারি হচ্ছে তা কমাবেন কি করে? এ ব্যাপারে আমি বিজ্ঞ কেউ নই, তবে আমার মাথায় দুটি সমাধানের উপাই কাজ করে। এক, দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরী, যাতে বিশাল এই জনশক্তি কাজে লাগে। সাথে জাতীয় অর্থনীতিও কলেবরে বাড়তে থাকবে। দুই, আমাদের এই বিশাল জনশক্তি বিদেশে পাঠানো, তাতে আমরা দুভাবে লাভবান হবো।প্রথমত, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের রিজার্ভে আসতে থাকবে, দ্বিতীয়ত, একটা নিদৃষ্ট সময় পর আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি পাবো। এবার চলুন কাজ দুটিতে ঝুঁকি কেমন; বৈদেশিক বিনিয়গ বান্ধব বাজার ব্যাবস্থা আমাদের নয়। বৈদেশিক বিনিয়গের জন্য যে দক্ষ জনবল দরকার তা আমাদের নেই। বাজার অর্থনীতি সম্পৃক্ত আরও অনেক কিছু জড়িত যা আমি ওয়াকিবহাল নই( ফিন্যান্সে বা ইকোনোমিকস আমার কম্ম নয়)।মোট কথা বিদেশি বিনিয়োগ (মোটা অংকে) দরকার, তার জন্য যা দরকার করতে হবে। পারত পক্ষে এই বৃহৎ জনবল বিদেশে পাঠানো অনেকটাই সহজ।যদিও আমাদের ফ্রেশ গ্রাজুয়েটরা আদতেই কর্মপযোগী নয়। তবু আশার বাণী যে, তারা কর্ম উদ্দিপ্ত তরুণ। এই তারুণ্যকে আমি জাতীর সঞ্জীবনী শক্তি হিসেবে দেখি। শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে এটার সদ্ব্যবহার করতে হবে। রাষ্ট্র যে কাজটি করতে পারে তা হচ্ছে বিভিন্ন উন্নত দেশগুলির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করা যাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমাদের দেশ হতে আরও ছাত্র গ্রহন করে। অথবা টেক্নিশিয়ান হিসেবে সাময়িক প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উন্নত দেশে পাঠানো। ২০ বছরের এমন এক টার্গেট নিয়ে রাষ্ট্র পরিকল্পনা গ্রহন করলে, দুই দশক পর আমরা কল্পনাতীত এক দক্ষ জনবল পাবো তা অতুলনীয়। আর এই সময়ের মাঝে আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে এমন ভাবে ঢেলে সাজানো উচিত, যেন ফ্রশ গ্রাজু্য়েট রা কর্ম উপযোগী হয়, চাইলেই যেন পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে অপর প্রান্তরে যেকোন জায়গায় কাজ খুঁজে পায়। যেমনটা চায়না ও ইন্ডিয়া প্রায় ১ দশকেরও আগে শুরু করেছে। এখন সারা বিশ্ব না চাইলেও চায়না বা ইন্ডিয়ান জনশক্তির বিকল্প নেই। কারন দক্ষ জনশক্তি নিতে হলে তাদের দ্বারস্থ হতেই হবে। যেমনটা বাংলাদেশের মাল্টিনশাল কম্প্যানি গুলো চাইলেও ইন্ডিয়ান জনবল ছাড়তে পাচ্ছেন না। এর বড় কারন আমাদের ঐ ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল নেই বা ছিলনা, এই চিরন্তন সত্যটি মানতেই হবে।
আজকাল কোনো কিছু নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করেনা, কারন কোনটা রেখে কোনটা লিখি? লেখার মত অনেক কিছুই বর্তমান বাংলাদেশে। আমার বন্ধু তালিকায় অনেকেই আছেন যারা আমার আজকের লেখায় কষ্ট পাবেন জানি, তবু আমায় লিখতে হবে, আপনাদের কষ্ট দেবার জন্য নয়, সময়ের দাবীকে সুউচ্চে তুলে ধরবার জন্য। কোনো কিছুকে ফোকাস করে দেখতে হলে আগে নিজেকে ফোকাসের বাইরে নিতে হয়, তাতে যে বিবেচনা দ্বারায় তা সুবিবেচনা হবার সম্ভাবনা অনেক। আজ সারা দেশ ব্যাপি যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়ে গেলো, তা ইনসাফের আন্দোলন। কোটা সম্...পর্কে আমার জ্ঞান বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে নয়, তবে মুটে মজুরের ব-কলম পাশ সন্তান হিসেবে যেটুকু জেনেছি তাকে পুঁজি করেই লিখছি। বাংলাদেশে বিদ্যমান কোটা যাদের ও যে উদ্দেশ্য সামনে রেখে করা ফলাফল হয়েছে তার বিপরীত। আমাদের দূর্ভাগ্য যে, যাদের এবিষয় সবার আগে দৃষ্টি গোচর হবার কথা তারা বুঝতেই অক্ষম। জানিনা কোন উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারী এমন প্রস্তাব রেখেছিলেন। রাষ্ট্র কোটা সম্পর্কিত যেটুকু ধারনা দেয় তাতে আমার জানা পশ্চাৎপদ জনপদের এগীয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি চালু করা। কিন্তু কোটা পদ্ধতির আজ বেনিফিশীয়ারি যারা তাদের পারিবারিক ও আর্থো-সামাজিক অবস্থা বিচার করলে দেখবেন, তাদের কোটার কোনো আবশ্যকতা ছিলনা। বাংলাদেশে কোনো কোটাই যথপোযুক্ত কাজে লাগেনা, লাগেনি।আমার চেনা জানা এমন কিছু মুক্তিযোদ্ধা যারা সর্বোচ্চ শিক্ষিত ছিলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর সরকারী ভালো চাকুরে ছিলেন। ওনারা যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন শহরে জীবন যাপন করবার, ছেলে মেয়েদের ভালো করে মানুষ করবার। যদিও মুক্তিযুদ্ধ ওনাদের হতে কিছুই কেরে নেয়নি, বরঞ্চ পেয়েছেন মাথা উঁচু করে দেশ গড়ার সম্মান, স্বাধীন নাগরিক হিসেবে কাজ করার অধিকার। হয়তো কোটা তার বা তাদের প্রাপ্য ছিলো, যে বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা উল্টো। উপজাতি কোটার দিকে তাকান দেখবেন সেখানেও একই হাল, যার আসলে কোটার দরকার ছিলো না, সেই সুযোগ সন্ধানী হয়ে ব্যাবহার করেছে। আরেকটা ব্যাপার যে, কোটা ব্যাবস্থা কখনোই সর্বোচ্চো পদে আসীন হওয়ার জন্য কাম্য নয়। আমার বিবেচনায়, কোটা মানে রাষ্ট্রের তরফ হতে কারও প্রতি কৃপা করছি, কৃপা কখনো নিজ জীবন বাজি রেখে কেউ করেনা করতেও পারেনা।কৃপা মানে লাইফ সাপর্ট স্বরুপ, সর্বোচ্চ চতুর্থ শ্রেনীর চাকুরী রাষ্ট্র তাদের জন্য বরাদ্দ দিতে পারে, সর্বোচ্চ ইন্টেলিক্চুয়াল নয়। এতো গেলো সরকারী চাকুরীর ব্যাপার, বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে তাকান সেখানে নাকি পোষ্য কোটা না কী যেন আছে। যারা মানুষ গড়েন, বিবেকের বীজ বপন করেন তারা কি করে এমন বেইনসাফ বয়ে নিয়ে এলেন? কই একবারও দেখলাম না যে এমন বেইনসাফির বিরোদ্ধে জোর দাবী তুলতে । বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের ইন্টেলিক্চুয়াল তৈরী করবে, সেখানে মেধার বাইরে ভাবা অনুচিত । সেখানে আজকাল আবার জামাই কোটা চালু হয়েছে চাকুরি প্রদানে, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন ও পরিবর্তন করেন স্বার্থসিদ্ধির জন্য।পশ্চাৎপদকে এগিয়ে নিতে কোটা কখনোই চিরস্থায়ী সমাধান নয়, যদি না পশ্চাৎপদ স্বউদ্যোগী হয় সামনে এগিয়ে যাবার জন্য। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বর্বরচিত হামলার তিব্র নিন্দা জানাই।বাংলাদেশের সর্ণসময়ের এ কর্মক্ষম জনশক্তি কাজে লাগানো উচিত তাতে অর্থনীতির চাকা দিগুন গতিতে চলবে বলে আশা করছি। জয় হোক ইনসাফের, জয় হোক মজলুমের।
আমি অনেক দিন হতে স্বপ্ন দেখি, এক জনবসতি গড়ছি। যা গভীর সাগরে অবস্থিত প্রবাল ও অরণ্যে ঘেরা। যে অরণ্যে থাকবে না কোনো বিষধর ভূজঙ্গ, হায়েনা, কিংবা শকুনির দল। আর ঐ... লোকালয়ে বসত করবে যতসব চাষাভূষার দল, যারা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। প্রকৃতি হতে লব্ধ জ্ঞানে হয়ে উঠবে প্রকৃতির অপার সন্তান।যারা হবেনা প্রতিহিংসা পরায়ন, থাকবেনা ভেদাভেদ সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করবে সকল প্রগতিশীল কাজ-কর্ম।প্রকৃতি তাদের মাঝে যে বিবেক বোধের বীজ বপন করবে, তাই তারা সময় ও স্থানের প্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ভাবে প্রয়োগ করবে। স্বপ্নটি আমার অবচেতনে বারবার উঁকি দিতে থাকে মানিক বন্দোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস পড়ার পর হতে। আর এই স্বপ্ন আরও তিব্রতর হয়, যখন আমি জানি অষ্ট্রলিয়া বর্বর জাতি হিসেবে জনমানব শুন্য দীপে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল কিন্তু আজ তারা সবচেয়ে সভ্য জাতী। চায়না হতে সুশীলদের তারা খেয়ে একশ্রেণীর জনগণ ভেগেছিল বালুকাচ্ছাদিত, সর্বচ্চো ভূমিকম্প প্রবন দ্বীপে যা আজ তাইওয়ান।কিন্তু তারাও পিছিয়ে নেই, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার দিকে তাকালে দেখা মিলবে অনেক এগিয়ে। তাই ঐ সকল দৃষ্টান্ত জানবার পর এ স্বপ্ন তাড়া করে ফেরে আমায়। আমি অভাব বোধকরি একটা দ্বীপের, আমি অভাব বোধকরি একজন ইভে’র, আমি অভাব বোধকরি দৃঢ়রজ্জু এবং দীর্ঘ্যরেতা এডামে'র। যারা আবার একটি নতুন সভ্যতার স্থাপন করবে। জন্ম দিবে কিছু দেবশিশু, যারা স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হবে সর্বত্তম শিক্ষক প্রকৃতির সাহায্যে। চিনতে শিখবে নিজেকে।তেমনি সম্মান করতে শিখবে অপরকে।যথাযোগ্য মূল্যায়ন করতে শিখবে অন্যের মতামতকে। নতুন কিছুকে গ্রহণ করবে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি রেখে। ভালবাসতে জানবে এবং ভালবাসতে শেখাবে অপরকে। অনুসন্ধিৎসু মনের চাওয়া স্বরুপ খুঁজে বের করবে বিশ্বসংসারে আগমনের হেতু। অন্যের দুঃখকে ভাগ করে নিতে পারবে এবং সুখ ছড়িয়ে দিবে সবার মাঝে, যেমন করে কুসুম তার সৌরভ ছড়ায় চারদিকে। যদিও কুসুমের সৌরভ ছড়ানোর বিপরীতে এক প্রচ্ছন্ন চাহিদা থাকে, তেমন চাহিদা থাকতেও পারে তবে তা সকলের অগোচরে।
|
Reciter's blog/
|