সর্বজন বিদিত একটি কথা বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিকের কাজের লক্ষ্য সামাজ সভ্যতার উন্নতি।কিন্তু কোন সে সমাজ? পারিপার্শ্বিক জনগন, সম্প্রদায় ও তাদের চাহিদা অনুসারে বিশ্বব্যাপিয়া ভিন্নতা থাকলেও; শক্তির(জ্বালানি ) ব্যাবহার, রোগের প্রকোপ, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা এবং দুষন সমস্যা সাধারণ।
নেচার সাময়িকীর এ সপ্তাহের বিশেষ ইস্যু: পূর্ব এশিয়ার ৫টি দেশ; হংকং, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া ও তাইওয়ান কিভাবে নিজেস্ব চাহিদা পূর্ণ করতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে তারা গবেষনার নিজেস্ব পথ তৈরী ও তার সুফল পেতে শুরু করেছে। চিত্তাকর্ষী ব্যাপার যে, তাদের মৌলিক অর্জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞান এ্যজেন্ডা গুলো তাদের নিজেস্ব চাহিদা পূর্ণ করতে স্পষ্টত ও অদ্বিতীয় ।
সারা বিশ্বের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠির কাছে, বিশেষত যারা আধুনিক বিজ্ঞানের রুপকল্পে সমাজ গড়তে আগ্রহী, তাদের কাছে এটি এক আদর্শ অনুকরনীয়।নেচার সাময়িকী আগেও বলেছে, আরও অধিক দাতা ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে সামাজিক চ্যালেঞ্জকে নিরুপন ও মোকাবিলায় এভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
নেচার সাময়িকীর এ সপ্তাহের বিশেষ ইস্যু: পূর্ব এশিয়ার ৫টি দেশ; হংকং, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া ও তাইওয়ান কিভাবে নিজেস্ব চাহিদা পূর্ণ করতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে তারা গবেষনার নিজেস্ব পথ তৈরী ও তার সুফল পেতে শুরু করেছে। চিত্তাকর্ষী ব্যাপার যে, তাদের মৌলিক অর্জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞান এ্যজেন্ডা গুলো তাদের নিজেস্ব চাহিদা পূর্ণ করতে স্পষ্টত ও অদ্বিতীয় ।
সারা বিশ্বের পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠির কাছে, বিশেষত যারা আধুনিক বিজ্ঞানের রুপকল্পে সমাজ গড়তে আগ্রহী, তাদের কাছে এটি এক আদর্শ অনুকরনীয়।নেচার সাময়িকী আগেও বলেছে, আরও অধিক দাতা ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে সামাজিক চ্যালেঞ্জকে নিরুপন ও মোকাবিলায় এভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রত্যেকটি অর্থনীতির একটা অদ্বিতীয় ইতিহাস থাকে, যার নিজেস্ব কাঠামো ও উন্নয়নের রুপরেখা বিদ্যমান। মালেশিয়ার কথায় ধরা যাক, যেটি এমন একটি ছড়ানো ছিটানো উপসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র, সেন্ডুইসের মত যার দুই পাশে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড। ১৯৭০ এর দিকে দেশটি স্বল্প আয়ের পন্য(টিন, রাবার, কোকোআ) হতে অধিক কমোডিটি সম্পন্ন পন্যের ( প্রাকৃতিক গ্যাস, পাম তেল) বাজার জাত শুরু করে। তারপর তারা ফলিত বিজ্ঞান কাজে লাগীয়ে, দ্রুত বর্ধনশীল ইলেকট্রনিক্স শিল্প গড়ে তোলে। ইদানিং কালে তাদের অধিক রপ্তানী পন্যের মাঝে ফলিত বিজ্ঞান গবেষনা পন্য ক্যামিকেলস্ উল্যেখযোগ্য। যদিওবা সফলতা আসতেছে, তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়গের তুলনায় অপ্রতুল।
এখন পর্যন্ত অসাভাবিক ঘটনা এটা যে, মালেশিয়ার প্রায় অর্ধেকের মত গবেষকই মহিলা। উল্লেখ যে, সুজানা ইউসুফ নামে এক কেমিক্যাল প্রকৌশলী, যে কিনা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে নিত্য ব্যাবহার্য বর্জ্য হতে জ্বালানি উৎপাদন করা হয়। তার কেরিয়ার পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যার মাধ্যমে সে পরিবেশ ও সমাজে অবদান রাখতেছে।
মালেশিয়ায় অধিকাংশ বিজ্ঞানী মুসলিম, আর সেখানে গড়ে উঠছে, হালাল খাদ্য উপাদান, ঔষুধ শিল্প ও প্রসাধনীর দ্রুত বর্ধনশীল এক ইকোনোমি, ২০১৬ সালে যার বিশ্বব্যাপি মূল্যমান ছিলো ২ ট্রিললি্য়ন ইউ এস ডলার।
মালেশিয়া তাদের জন্য ফলিত বিজ্ঞানের অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো নিরুপণ করেছে এবং সামাজিক চাহিদা নিবৃতির জন্য অফিসিয়ালী বিনিয়োগ করছে। শুধু যে তারাই এ কাজ করছে তা নয়, সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া ও তাইওয়ান অনেক গুলো ফলিত বিজ্ঞানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা ইলেকট্রনিক্স, ফিজিক্স ও ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স সম্মিলিত রুপ। এসবের ফল স্বরুপ তাদের জি ডি পি উর্ধমুখী লাফিয়ে চলছে। সিঙ্গাপুরিয়ান সরকার এসবের কিছু অংশ জাতিয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাস্থ্য সেবা ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চে ব্যায় করছে।যা এশিয়ান জনসংখ্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
মালেশিয়ায় অধিকাংশ বিজ্ঞানী মুসলিম, আর সেখানে গড়ে উঠছে, হালাল খাদ্য উপাদান, ঔষুধ শিল্প ও প্রসাধনীর দ্রুত বর্ধনশীল এক ইকোনোমি, ২০১৬ সালে যার বিশ্বব্যাপি মূল্যমান ছিলো ২ ট্রিললি্য়ন ইউ এস ডলার।
মালেশিয়া তাদের জন্য ফলিত বিজ্ঞানের অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো নিরুপণ করেছে এবং সামাজিক চাহিদা নিবৃতির জন্য অফিসিয়ালী বিনিয়োগ করছে। শুধু যে তারাই এ কাজ করছে তা নয়, সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া ও তাইওয়ান অনেক গুলো ফলিত বিজ্ঞানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা ইলেকট্রনিক্স, ফিজিক্স ও ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স সম্মিলিত রুপ। এসবের ফল স্বরুপ তাদের জি ডি পি উর্ধমুখী লাফিয়ে চলছে। সিঙ্গাপুরিয়ান সরকার এসবের কিছু অংশ জাতিয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাস্থ্য সেবা ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চে ব্যায় করছে।যা এশিয়ান জনসংখ্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
এই অঞ্চলে সকল পরিমাপের বিচারেই বিজ্ঞান গবেষনায় দক্ষিন কোরিয়া অবিস্মরণীয় । তারা তাদের মোট জি ডি পি’র ৪ শতাংশ ব্যায় করে বিজ্ঞান ও গবেষনা ক্ষাতে। এবং জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে প্রতি শতাংশে গবেষকের সংখ্যা অধিক। গত ২০ বছরে তাদের স্কলারারী নিবন্ধ প্রকাশনের সংখ্যা গগনচুম্বি রকেটের গতির ন্যায়।
উপরোক্ত দেশগুলি পারলেও বাংলাদেশ পারেনি, কেন? কি এমন ঘটতি ছিলো আমাদের? যদিও স্বাধীনতা লাভ বা অার্থো-সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করি বাংলাদেশ উক্তো দেশ গুলির সমগোত্রীয় । কি কারন ? এখনই সময় আমাদের খোঁজে পাবার। যদি এখনও আমরা বিলম্ব করে বসে থাকি তাহলে আমাদের আরো কয়েক শতক অপেক্ষা করতে হবে?
Source: Nature weekly issue, 27 june 2018
উপরোক্ত দেশগুলি পারলেও বাংলাদেশ পারেনি, কেন? কি এমন ঘটতি ছিলো আমাদের? যদিও স্বাধীনতা লাভ বা অার্থো-সামাজিক অবস্থার কথা চিন্তা করি বাংলাদেশ উক্তো দেশ গুলির সমগোত্রীয় । কি কারন ? এখনই সময় আমাদের খোঁজে পাবার। যদি এখনও আমরা বিলম্ব করে বসে থাকি তাহলে আমাদের আরো কয়েক শতক অপেক্ষা করতে হবে?
Source: Nature weekly issue, 27 june 2018