গতকাল ঈদ হয়ে গেছে বাংলাদেশে, দেশে থাকতে একটা অলিখিত নিয়ম মেনে আসছিলাম। বিশেষত ঈদ-উল-ফিতর এর আগে বন্ধু-বান্ধব সব মিলে ইফতার আর ঈদের দিন নামাজ শেষে সাক্ষাত, তাও আবার সেই ১ যুগ আগে ফেলে আসা স্কুল মাঠে। যদিও সব বন্ধু-বান্ধবকে পেতাম না, ঐ আসরে তবু এক ভাল লাগা কাজ করতো। শুন্য স্কুল মাঠটায় ঢুকতেই আড়ষ্ঠতা কাজ করতো, মনে হতো, এ আমার চিরায়ত সেই প্রাঙ্গণ নয়, এ অন্য কিছু। তবু স্মৃতি হাতরে খোঁজার চেষ্টা করতাম, ফেলে যাওয় ৬ বছরের খন্ড খন্ড স্মৃতিগুলো। এক সময় ঠিক জীবন্ত হয়ে ধরা দিত, দিন রাত্রির ২৪ ঘন্টার কোন মূহুর্ত কোথায় কাটিয়েছি। স্মৃতি হাতরে অনেক কিছুই পেতাম না, তার মাঝে অন্যতম; দরজা-জানালা বিহীন মাটির তৈরী ঘর গুলি আর তার চালা বিহীন বারান্দা। পশ্চিমের আম-জামের গাছ গুলি। বেশ কিছু না পাওয়ার মাঝেও পেতাম কিছু জীবন্ত হয়ে উঠা স্মৃতি আর তার স্বাক্ষর। হাজারো স্মৃতির মাঝে যা এখন ও সাক্ষর বহন করছে, বর্তমানে মাঠের মাঝের ঐ নারকেল গাছটি। সম্ভবত ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির কথা, গাছটির সামনে দাড়িয়ে প্রচুর কেঁদেছিলাম । কেন কেঁদেছিলাম জানিনা, তবে কান্নার বাঁধ ভাঙ্গা সে জোয়ার যেনো থামাতেই পাচ্ছিলাম না। অফিসিয়ালী সেদিন স্কুলের সাথে সম্পর্ক ছেঁদের দিন। যদিও চেষ্টা করেছিলাম নিজেকে অনেক দৃঢ় করতে কিন্তু মানষিক ভাবে মনেহয় ততোধিক ভেঙ্গেঁ পড়েছিলাম। স্কুলে থাকা কালে যে স্যার দের মনে হত, অনেক রুক্ষ মেজাজের অধিকারী, তাঁরাই ভিতরে ভিতরে এতটা মাতৃ স্নেহ ধারন করেন জানা ছিলনা। জানা ছিলনা আমাদের এত ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। সেদিন সব ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন, তাই হয়তো আর নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি । ২ বছর হলো আজ দেশান্তরী, বন্ধুদের সহচর্য আজ নেই বললেই চলে। গতকাল অনেকেই উপস্থিত হতে পারিনি, তবু বলবো চলুক এই সমাহার যুগ হতে যুগান্তর। চলুক অসীমের পানে নিরন্তর এই পথ চলা.......
|
Reciter's blog/
|