২৯ চন্দ্র বছর পূর্বে ২৯ রমজানের শুক্রবার দিনের ভোরের সূর্য্য উঠার আগে, ফজর নামাজ ওয়াক্তে নাকি ভূমি স্পর্শ করেছিলাম। ভূমিষ্ঠ হবার পর আজান শেষে নানা নাকি মন্তব্য করেছিলেন, “কোন হাজী ভূমিষ্ট হলো এ সংসারে!” বাবা-মা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন, জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত করেও শিখিয়েছেন ধর্মীয় শিক্ষার খুঁটি-নাটি, দায়ীত্ব, কর্তব্য ও আচরণ বিধি।সেভাবেই বাড়ির বাইরে পাঠিয়েও ছিলেন ২০০৫ সালে, ২০০৫-২০১২ পর্যন্ত ভালই চলছিলো সে মোটিভেশনে, হঠাৎ কোন মোহে বা ঘূর্ণীপাকে সব স্বাতন্ত্রতা হারিয়ে গেলো। বিচ্যুত হলাম, আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলাম সময়ের স্রতে। স্রোতে ভাসতে ভাসতে আজ উত্তাল সাগরে।খড় কুটোর মত রমজান মাস পেয়েছিলাম, তীরে ফিরাবার অবলম্বন তাও বিদায় লগ্নে হাত ইশারা করছে, মুখে তার বিদ্রুপের মলিন হাসি। দিন আসে দিন যায়, আমার সেই আমি টা, আর ফিরে আসেনা। আগে ছিলো, না পাওয়ার আকাংখা, বড় হবার স্বপ্ন আর এখন শুধুই টিকে থাকার, বেঁচে থাকার সাধনা। এর মানে এই নয় স্বপ্ন ছুঁইয়ে ফেলেছি; সেই আগ্রহ, মনবল, একাগ্রতা কেনো যেন মুষড়ে পরেছে। ঠিক যেমন কালবৈশাখীর ঝড়ে কচি লাউয়ের ডগা তার তন্তু জড়ানো অবলম্বন হতে মাটিতে লুটোপুটি খায়। আগে যে সকল বিষয়, যতটাই রঙ্গীন স্বপ্নময় আলোক ঝলমলে মনে হতো, আজ ততটায় বর্ণহীন, আলোকহীন সৌর বামনের মত; যে তার রং ও আলক ছটা আমি পাবার আগেই সব হারিয়েছে। তবু আশা, বেঁচে আছি সৃষ্টিকর্তার অফুরন্ত নিয়ামত, সুবাতাস, সূর্য্যের আলো, প্রকৃতির সবুজ আলো ও আকাশের ঐ নীলাভ শুন্যতা নিয়ে। শুকুরিয়া জ্ঞাপন করছি তার এমন ঐশ্বর্য দুচোখ মেলিয়া দেখার, আকন্ঠ পান করবার আর হৃদয় দিয়ে অনুভবের সুযোগ দান করার জন্য।
|
Reciter's blog/
|